Overblog
Edit post Follow this blog Administration + Create my blog
Manikganj

Manikganj

মানিকগঞ্জের উজ্জ্বল নক্ষত্র যারা মানিকগঞ্জের নাম দেশ ও বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করেছে

#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ
#মানিকগঞ্জ

#মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের উজ্জ্বল নক্ষত্র যারা মানিকগঞ্জের নাম দেশ ও বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করেছে:

অমর্ত্য সেনঃ
মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জের উজ্জ্বল নক্ষত্র কৃতি সন্তান বিশ্ব দরবারে মানিকগঞ্জের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি বিশ্ব বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন। তাঁর বাড়ী মানিকগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী মত্ত গ্রামে। তিনি শুধু অর্থনীতিবিদ নন, তিনি অর্থনীতির দার্শনিক ও বিবেক। তাঁর জন্ম ১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর। তিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান।

ভাষা শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদঃ
ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ। ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর সিঙ্গাইরের বলধারা ইউনিয়নেন পারিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।

হীরালাল সেন- উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের জন্ম ১৮৬৬ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বগজুরি গ্রামে। তিনি ১৯১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

খান আতাউর রহমান- খান আতাউর রহমান শুধু মানিকগঞ্জের গর্ব নয় তিনি বাঙালী জাতির অহংকার। তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ই ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক খান আতা ১৯৫৯ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘‘এদেশ তোমার আমার’’ ছবিতে প্রথম সঙ্গীত পরিচালক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি জীবনে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৯৭ সালের ১লা ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন।

দীনেশ চন্দ্র সেন- শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার। ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জেরর বগজুরি গ্রামে। তাঁর পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার সুয়াপুর গ্রামে। ১৯৩৯ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

কিশোরীলাল রায় চৌধুরী- কিশোরীলাল রায় চৌধুরী
১৮৪৮ সালে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি জমিদার বাড়ির পশ্চিম তরফে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৮৪ সালের ৪ জুলাই তাঁর পিতার নামে জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি। তিনি ঢাকায় বাংলা বাজারে ১৮৮৭ সালে তাঁর নিজ নামে কিশোরীলাল জুবিলী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯২৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

খন্দকার দেলোয়ার হোসেন- খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়ায় ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক এমপি, চীফহুইপ এবং বিএনপির সাবেক মহাসচিব ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী- আবদুল হালিম চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীকে ২ নং সেক্টরের অধীনে মানিকগঞ্জ মহকুমা,মুন্সিগঞ্জ মহকুমা,ঢাকা সদর উত্তর ও দক্ষিণসহ ২২ থানার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সাব সেক্টর কমাণ্ডার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই অসীম সাহসী বীরযোদ্ধা জীবন আব্দুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং একই সালের ১৫ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের এই বীর ১৯৮৭ সালের ৭ অক্টোবর পরলোক গমন করে।

কর্ণেল (অবঃ) এম এ মালেক- কর্ণেল (অবঃ) এম. এ মালেক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া নির্বাচনী এলাকা হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সন থেকে ১৯৮৯ সন পর্যন্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০০ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিচারপতি নুরুল ইসলাম- মানিকগঞ্জের যে কৃতি সন্তান রাষ্ট্রযন্তের দ্বিতীয় সব্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন, তার নাম "বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম। "এরশাদ সরকারের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ১৯২৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার খলিলপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বিচারপতি ইসলাম ১৯৭৭ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বিচারপতি নুরুল ইসলাম ১৯৮৫ সালে তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন তিনি ১৯৬৭ সন হইতে ১৯৭১সাল পর্যন্ত পর্যন্ত প্রাধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেন। বিচারপতি নুরুল ইসলাম ১৪/১১/২০১৫ ইন্তেকাল করেন।

শামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়া- মানিকগঞ্জের
উন্নয়নে যারা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মানিক 'নয়ামিয়া'। ১৯৩০ সালে নয়ামিয়া'র জন্ম। নয়ামিয়া ১৯৯১ সালে পঞ্চম, ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল
সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৯১' এর মন্ত্রী পরিষদে তিনি শিল্পমন্ত্রী ছিলেন।শামসুল ইসলাম খান
২০০৪ সালে ইহলোকের মায়া ছেড়ে চলে যান।

হারুনার রশিদ খান মুন্নু- হারুনার রশীদ খান মুন্নু ১৯৩৩ সালে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি একসঙ্গে মানিকগঞ্জ-২ আসন ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জয়লাভ করেন এবং দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হন।

মমতাজ বেগম- একজন জনপ্রিয় বাংলা লোকগানের সংগীত শিল্পী এবং জাতীয় সংসদে র তিনবারের সংসদ সদস্য। বাংলাদেশের সুর সম্রাজ্ঞী বলে খ্যাত মমতাজ তার চার দশকের ক্যারিয়ারে ৭০০-এর অধিক গান রেকোর্ড করে গিনিসবুকে নাম লেখান। মমতাজের জন্ম সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্ডপে।

জাহিদ মালেক স্বপন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের সল্ফ্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৯ সালের ১১ এপ্রিল জাহিদ মালেক স্বপনের জন্ম। তার বাবা মরহুম কর্নেল (অব.) আবদুল মালেক ঢাকা সিটি কর্পরেশনের মেয়র ছিলেন। জাহিদ মালেক স্বপন দেশের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীও।
২০০৮ সালে প্রথমবাররাজিত করে সাংসদ হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে তিনি সাংসদ হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৮ নির্বাচনে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নাঈমুর রহমান দুর্জয়- নাইমুর রহমান দুর্জয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক। ২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচে তাঁর অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ নির্বাচনে এবারও সাংসদ নির্বাচিত হয়। ১৯৭৪ সালে তিনি মানিকগঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন।

নীনা হামিদ- নীনা হামিদ একজন বিখ্যাত লোক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তার "আমার সোনার ময়না পাখি" এবং "যে জন প্রেমের ভাব জানে না" গানের জন্য প্রসিদ্ধ। লোকসঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। নীনা হামিদ এক শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নীনা হামিদের পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার নওদা গ্রামে।

মমতাজ আলী খান- মমতাজ আলী খান ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত লোক সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। মোমতাজ আলী ১৯১৫ সালের ১ মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবিগুরু তাঁর ভাটিয়ালী, মুর্শিদী, দেহতত্ত্ব ও বিচ্ছেদী গান শুনে মুগ্ধ হন। মমতাজ কয়েকটি চলচ্চিত্রে গায়ক, গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। ১৯৩৩ সালে
অভিযাত্রী চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। পরবর্তীতে সাত ভাই চম্পা , বেদের মেয়ে , অরুন বরুন কিরন মালা , রূপবান, জোয়ার ভাটা , যে নদী মরু পথে, ভাওয়াল সন্ন্যাসী , দয়াল মুর্শিদ, অনেক দিন আগে , একমুঠো ভাত, লালন ফকির, নিমাই সন্ন্যাসী সহ আরো অনেক গান চলচ্চিত্রে তাঁর রচিত গান ব্যবহৃত হয়। তাঁর রচিত "গুন গুন গান গাহিয়া" গানটি ১৯৭৫ সালে খান আতাউর রহমান নির্মিত সুজন সখী চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়। মোমতাজ আলী ১৯৯০ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। লোকসঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান।

কিরণ চন্দ্র রায়- দেশ বিদেশে নন্দিত বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় মানিকগঞ্জের সন্তান। তিনি ১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই হরিরামপুর উপজেলার ভাটি বয়ড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

আব্দুর রশিদ সরকার- আব্দুর রশিদ সরকার বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল শিল্পী এবং বহু মরমী গানের রচয়িতা। তার জন্ম সিঙ্গাইরের আজিমপুরে।

ভবা পাগল- ‘ভবা পাগলার’ আসল নাম ‘ভবেন্দ্র মোহন সাহা’। তাঁর জন্ম আনুমানিক ১৮৯৭ খৃস্টাব্দে। মানিকগঞ্জ অঞ্চলে তিনি ভবা পাগলা নামে খ্যাত। তাঁর গান মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ও অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছিল অনেক আগেই। অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ তাঁর দুটি গান ছেপেছিলেন। মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ‘হারামণির সপ্তম খণ্ডে’ ভবা পাগলা সম্পর্কে লিখেছেন, ভবা পাগলা এক জন নামকরা বাউল গান রচয়িতা। তিনি সাটুরিয়া থানার অন্তর্গত আমতা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর গান মানিকগঞ্জ জেলা সহ বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন স্থানে পরিচিতি লাভ করে ও গীত হয়ে আসছে। তিনি মূলত শ্যামা সঙ্গীত, ভাব গান, গুরুতত্ত্বের গান, দেহতত্ত্বের গান, ও সৃষ্টিতত্ত্বের গান রচনা এবং সুর নিজেই করেছেন। এমন মানব জনম আর পাবেনা, বারে বারে আর আসা হবে না-তার লেখা গান।

সৈয়দ কালু শাহ্ ফকির- আধ্যাত্মিক সাধক ও বহু গানের রচয়িতা কালু শাহ ফকির। সাটুরিয়ার উত্তর কাওন্নারা গ্রামে তার মাজার রয়েছে।
সাইদুর রহমান বয়াতী- সাইদুর রহমান বয়াতী একজন
বাউল রীতির লোক সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৯৫ সালে সেরা পুরুষ নেপথ্য গায়ক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সাইদুর রহমান বয়াতি ১৯৩১ সালে দক্ষিণ মানিকগঞ্জের পুটাইল ইউনিয়নের হাসলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

আবিদা সুলতানা-বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আবিদা সুলতানা। তিনি ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আগুন- খান আতাউর রহমানের সন্তান আগুন। তিনি কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেতা।

জানে আলম- বাংলাদেশের জনপ্রিয় পপ সংগীত শিল্পী জানে আলম। তার জন্ম হরিরামপুর উপজেলার যাত্রাপুরে।

অমলেন্দু বিশ্বাস- অমলেন্দু বিশ্বাস ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশী যাত্রা অভিনেতা ও পরিচালক। ঘিওরের জাবরা গ্রামে তিনি বাস করতেন। ১৯৮৭ সালে তিনি মারা যান।

অরুনা বিশ্বাস- আশির দশকের বাংলা সিনেমার পর্দা কাপানো নায়িকা অরুনা বিশ্বাস। আজ সোমবার পর্দায় ঝড়তোলা এই নায়িকার জন্মদিন। ১৯৬৭ সালের ১ আগস্ট তিনি মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার জাবরা গ্রামে যাত্রা সম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাস এবং যাত্রা জগতের আরেক নক্ষত্র জ্যোৎস্না বিশ্বাসের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন।

ফারুক আহমেদ- বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম নাম ফারুক আহমেদ। অভিনয়ের মাধ্যমে নির্মল বিনোদন ও হাসির খোরাক জোগানোই তার কাজ। দেখতে দেখতে অভিনয় জীবনের একত্রিশ বছর পার করেছেন মানিকগঞ্জের সন্তান এই দর্শকপ্রিয় অভিনেতা।

শামীম জামান- মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের এক জনপ্রিয় অভিনেতা ও সফল প্রযোজক শামীম জামান। শামীম জামানের জন্ম মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে জন্মগ্রহন করেন দেশের এই প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা।

মাজনুন মিজান- ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ মাজনুন মিজান। তিনি হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন।

দীপা খন্দকার- দর্শকদের কাছে খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। বারো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে এক হাজারেরও বেশি নাটক করেছেন। অভিনয়, মডেলিং, নৃত্য, শিল্পচর্চার তিনি ধারাতেই দারুণ প্রশংসিত। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী দীপা খন্দকার।

নওয়াজেশ আহমেদ- আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী। তিনি সিঙ্গাইরের বলধারার পারিল গ্রামের সন্তান।

নাইব উদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশের অন্যতম পুরোধা আলোকচিত্র শিল্পী। ১৯২৫ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯৫৮ সালে বিশ্বব্যাপী আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড ফটো কনটেস্ট’-এ তিনি পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্রী হিসেবে পুরস্কৃত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদারদের অত্যাচারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে বিদেশী পত্রিকায় পাঠান নাইব উদ্দিন আহমেদ।

আবদুল লতিফ বিশ্বাস: মানিকগঞ্জের এক ক্ষণজন্মা মহা পুরুষ "আবদুল লতিফ বিশ্বাস "। আজকের যে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক তার প্রধান উদ্যোগতা ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের " খাদ্য মন্ত্রী " হিসেবে মানিকগঞ্জ জেলার জন্য অতিরিক্ত খাদ্য বরাদ্দ করেন। তার বাড়ি হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়েনের সোনাকান্দা। তিনি ছিলেন কৃষি ও খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী।

এমন শত মানিকের জন্মভূমি আমাদের মানিকগঞ্জ। আমি গর্বিত মানিকগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করে।

Share this post
Repost0
To be informed of the latest articles, subscribe:
Comment on this post